ধর্ষণ মামলা বিচারের ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি না থাকা। এ জন্য চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দ্রুততম সময়ে দুটি ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বন, জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অংশীজনদের কাছ থেকে পাওয়া মতামত অনুযায়ী খসড়াটি প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আরো বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতনসংক্রান্ত অপরাধ নির্ণয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপাতত চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে দুটি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশেষ জুডিশিয়ারি সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত কিছুসংখ্যক বিচারক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার।
যাতে করে ধর্ষণসহ অন্যান্য মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যায়।’